করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে কেউ বলতে পারছে না। উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যেই সবার দিন যাচ্ছে। থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। করোনার কাছে হার না মানলেও পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কার কাছে হার মানতে হতে পারে অনেককেই। তার নিদর্শন এখনই কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন তাদের ৭০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রায় সব বড় বড় ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগ গ্যালারি শূণ্য স্টেডিয়ামেই চলছিলো এতদিন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর ঠিক পরপরই করোনার আর্থিক ক্ষতির মধ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য ৭০ ভাগ কর্মী ছাঁটােইয়ের ঘোষণা দিয়েছে এফএফএ।
ফেডারেশনের প্রধান জেমস জনসন বলেন, ‘এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সংগঠনকে স্থিতিশীল করার জন্য এ ছাড়া উপায় ছিল না। হয়তো সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রক্রিয়া হলেও এ খেলায় অবদান রাখা চালিয়ে যেতে হলে এটা করতেই হতো। সারা বিশ্বে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানই করোনা সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলও এর ব্যতিক্রম নয়।’
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া জগতে এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল একসময়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল রাগবি লিগেরও বেশ কিছু টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
ইউরোপের অনেক দেশ ফুটবল লিগ বন্ধ করলেও অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগ এত দিন গ্যালারি শূন্য স্টেডিয়ামেই চলছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের হার তিন হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর তিন দিন আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এফএফএ। এরপরই করোনার ফলে আর্থিক ক্ষতির মাঝে নিজেদের টিকিয়ে রাখার উদ্দেশে ৭০ ভাগ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য ফুটবলের আগে এমন ঘটনা ক্রিকেটেও ঘটেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল রাগবি লিগেরও রাজ্য পর্যায়ে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
মার্চের প্রথম দিকেও মাত্র ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলো অস্ট্রেলিয়াতে। সেটি গতকাল ৩ হাজার ১৬৬তে দাঁড়িয়েছে এবং মারা গেছে ১৩ জন।
মন্তব্য করুন